রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

ইন্দ্রিয়-পথ...


মেঘ জমেছে;
খবর পেলাম ব্জ্রনাদের হাত ধরে।
রাগ জমেছে;
দেখতে পেলাম রক্তস্বাদের ঘ্রাণ পেয়ে।
আলো আছে;
বুঝতে পেলাম অন্ধকারের কোল ঘেঁষে।

আর এসব খবর শুনতে, দেখতে ও বুঝতে গিয়ে...  হারিয়ে ফেললাম নিজেকে।

উল্লাসে।
আর্তনাদে।
আর
                               নিরুদ্দেশে!!!


বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

রোজনামচা


লাশ পড়েছিল আধবোজা পুকুরের পাড়ে...
কে মেরেছে? কি তার পরিচয়?
নাম তার ‘ন’-এর দলে... নাকি ‘স’-এর?

ঘর থেকে বেরিয়ে আজ সে বারবনিতা...
আলোচনা চলে...
টেনে নিয়েছিল কোন জাতের ছেলে?

ছোট্ট ছেলে...  জন্ম থেকে হাত পাততে শেখে...                                     
প্রশ্ন ওঠে...
ওর শ্রেণী-কে নিয়ে।

দুর্নীতির মামলা গ্রাম থেকে হেঁটে হেঁটে এখন সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামরত...
তর্ক চলে...
‘নীতির’ সংজ্ঞা নিয়ে...


এভাবেই একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে... ঘটনার ঘনঘটায় তারা হয়ে ওঠে জট-পাকানো তন্ত্রের মত। তুমি আর আমি বারান্দায় পা দুলিয়ে দুলিয়ে নতুন কেনা-কাটার হিসেব করতে করতে সূর্যডুবি দেখি...

সূর্যটা ডুবতে থাকে...
আলো পালিয়ে যায়...

আর আমাদের আদরের মেয়ে রোজকার মত খবর খুঁজতে থাকে। কাল খবরের কাগজে ঘটনা ছাপবে আরও।

আমরা আয়েস করে দেখব সূর্যোদয়...
সূর্য-ডুবির অপেক্ষায়... 

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১২

রাস্তায় নামতে গিয়ে...


যদি রাস্তায় নামতে বলিস নামতে পারি আমি
প্রশ্ন    ...    ‘তুই নামতে বলিস কেন?’
সেই প্রশ্নে প্রশ্ন করিস ‘আমায় শুধোস কেন?’
তখন আমার প্রশ্ন জাগে... ‘শুধোব না কেন?’...
এমন করেই চলতে থাকে হাজার-খানেক বছর
প্রশ্ন পিঠে প্রশ্ন চলে ... পাহাড় জমে ওঠে
পাহাড়-পারে তুই দাঁড়িয়ে ...
পাহাড়-পারে আমি...
রাস্তা গেছে কোনখানেতে জানিনা ‘তুই – আমি’ !!!


বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

গল্প-ছবি


কুয়াশা আর চাঁদের আলো,
পা ছড়িয়ে বসে গল্প করছিল...
যদিও ওদের গল্পের একটি শব্দও আমায় ছুঁতে পারেনি,
তবু তোমার শব্দের পাহাড় পেরিয়ে ওদের আমি ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলাম মাঝেমধ্যেই...
আবার ফিরে এসে তোমার অগোছালো শব্দগুলো দিয়ে নিজের মত করে ছবি আঁকছিলাম...
যে শব্দগুলো দিয়ে তুমি হয়ত অন্যরকম কোন একটা ছবি আঁকছিলে,
আর তাই হয়ত আমার ক্যানভাসে রংগুলো সব মিলেমিশে সাদা হয়ে
                                                                  হাঁটা দিচ্ছিল...
চলতে চলতে তারা ছুঁয়ে ফেলছিল চাঁদের আলো আর কুয়াশার গল্পকথার ওই ধোঁয়ায় ধোয়া রঙ... যে কথার শব্দগুলোকে আমি ছুঁতে পাইনি কিছুতেই!
ফিরতি পথে হয়ত তারা আনবে সেই সদ্য স্নাত রঙ... হয়ত সে রঙ চড়বে আমার ক্যানভাসে...
                                                                  আর তুমি তখন...
অন্য কোথাও অন্য শব্দ নিয়ে... আঁকছ ছবি অন্যমনে... তোমার ক্যানভাসে...


শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

কবিতা নয় ...


কয়েকটা লোক জুটতে পারো আমার সাথে?
কাজ রয়েছে পড়ে!
যদি আস... জোটার আগে ফর্দ পড়ে নিও।

ফর্দের কিছুটা তুলে দিলাম...
ইতিহাস কিংবা ঐতিহাসিক দুজনের একজনকে গায়েব করা...
তর্ক নামে বিষয়টিকে অভিধান থেকে ঘষে তুলে ফেলা...
চায়ের কাপগুলোকে ভেঙে ফেলা...
ওয়াইন-গ্লাস গুলোকে শো-কেস বন্দী করা...
‘আমি’-র অর্থ বদলে ‘তুমি’ করে দেওয়া...
‘হ’ –এর কান ধরে ‘ম’-এর ঘরে নিয়ে যাওয়া...

শুরুতে ভেবেছিলাম... একলা চলতে থাকি।
চলব তা ঠিক...
কেউ সাথে থাকলে জানাবেন।






বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

ভড়ং !


দুর্বোধ্য কবি হও... কবিতাকে বাঁধো ঘেরাটোপে!
বুঝতে পেলেই তুমি কাবু হবে কাব্যের কোপে...
ছবি যদি আঁক তবে ভরে দাও স্বপ্নের রঙ,
বাস্তব-ঘেরা মন করে যাক অং – বং – চং ।
গল্পে চলতে গেলে জীবনকে ভুলে যেতে হবে...
সব পথ ভুলে গেলে তবে তুমি ঠিক পথ পাবে!!!

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

'আবার আসব'...


শেকড় থেকে আমি তোমায় উপড়ে নিতে চাই...
কাল তোমায় অপমান করেছি                আজ তাচ্ছিল্য...!
ভবিষ্যতের খাতায় আর কি তুলে রেখেছি... নিজেও জানিনা !
বহুদিন ধরে দূর থেকে দেখেছি তোমায় আমি
যেভাবে দেখিয়েছে সক্কলে...
                           ওরা থাকে জঙ্গলে
                           ওরা থাকে পাহাড়ে ...
ওদের নিয়ে ভাবনা নয়... ওদের সঙ্গে বন্ধুতা নয়... 
যাওয়া যেতে পারে কোন এক সময়-কাটানো ছুটির অজুহাতে
নাচ দেখতে তোমাদের...
                     আর দুহাত গালে ঠেকিয়ে আশ্চর্য প্রকাশে!!!
পড়া যেতে পারে বিদ্যাসাগরি ‘সভ্য ও অসভ্য’ ... চায়ের অবকাশে...

আর আজ হঠাৎ যখন তোমাদের মাঝে গিয়ে পড়লাম...
প্রতিটা চোখে দেখতে পেলাম... আমার কঙ্কাল!
প্রতিটা চোখে দেখতে পেলাম প্রেমের করতাল!!! 
    বলে এলাম...    ‘আবার আসব’...

(ওড়িশার আদিবাস থেকে ফিরে... !)


To embrace my darks!

Do I mean something to you?                                       He asks. The words echo and knocks on the doors that I kept in the darkest...