সোমবার, ২ মে, ২০২২

মৃত্যুব্যস্ত

 এখন মৃত্যুর সময়, কাছের ও দুরের সমস্ত মানুষের মৃত্যুর সময়। তোমার, আমার, তাদের... সকলের মৃত্যুর সময়। মৃত্যু দুবছর আগেও সবসময়ই সম্ভাব্য ছিল, তবে এখন অনেক বেশী গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। গতবছর আমরা রেলস্টেশন-এ মা-এর মৃতদেহের সাথে খেলতে থাকা... মৃত মা কে ডাকতে থাকা শিশুকে দেখেছি। ছুটিয়ে পোস্ট করেছি (অ)সামাজিক মাধ্যমে। কেন এমন হল? রাষ্ট্রের দোষ না আমাদের? ইত্যাদি নানারকম কথা। সে শিশু এখন কোথায়, আমি জানি না। 

আপনি জানেন কিনা তাও জানি না। 

আপনার বা আমার কার হাতেই খুব একটা সময় নেইএকে অপরের সাথে কথা বলার। একে অন্যের কথা শোনার তো একদমই সময় নেই। স্ক্রীন স্ক্রোল করার সময় অবশ্য আমি বের করে নিয়েছি ঠিক। ওপিনিয়নেটেড মানুষ আমি। কাজ সেরে ওইটুকু করবার জন্যে না হয় একটু রাত জেগে শরীরপাত করলাম। 

রেললাইনে ও রেললাইনের ধারে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়া দেহগুলির মরদেহ হয়ে যাওয়া শুনেছি, দেখেছি। আবার কথার পিঠে কথা ফেলে এক্কা দোক্কা খেলেছি। দোষ খোঁজাখুঁজি চলেছে বিস্তর। এসবের ফাঁক গলে মৃত্যু ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছে আমাদের সকলের কাছে। সংবাদমাধ্যম ও (অ)সামাজিক মাধ্যম থেকে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়েছে আমাদের কাছের বৃত্তে। প্রথমে খানিক কাছের খবর হয়ে, দূরভাষ বেয়ে। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একদম ঘরের মধ্যে। যমদূত যখন গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা করছে ঠিক ঘরের দরজার সামনেই, ঠিক সেই সময়টুকুতে খানিক শব্দহীন হয়েছি আমরা। ওই খানিক ব্যস্ততা আপনার জনকে বাঁচাতে। 

To embrace my darks!

Do I mean something to you?                                       He asks. The words echo and knocks on the doors that I kept in the darkest...