শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

শব্দঘোর

যুগান্তরের জাবরকাটা যাঁতাকলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসা কিছু শব্দেরা একজোট হয়ে কখনও একটা কবিতা আবার কখনও নাকি একটা গল্প হয়ে ওঠে।

অমুকদা কাউকে বলছেন ভাষার কারিগরি জমেছে বেশ।
তমুকদি বলে উঠলেন... না না তত্ত্বটাই সার... সেটা না থাকলে কি গভীরতা মেলে?
আর একজন তারই মধ্যে ধরে ফেললেন গান।

হাতে বাহারি গেলাস আর সারা বাড়ির হালকা হলুদ-একটু বেগুনি-আর সামান্য সবুজ আলো-আঁধারিতে বেশ মাতয়ারা পরিবেশ। আমি আছি এককোণে বসে। কি যেন শিখব বলে এসেছিলাম। কিছু একটা শিখলামও বটে। কারা সব কাকে যেন চুমু খেল... কার ঘরে কারা যেন শুয়েছিল... আর কে যেন কিনেছে ডিশওয়াসার। আছি তবু এককোণে বসে! তথ্য-প্রযুক্তির যুগে কোন্ তথ্যই বা ডাস্টবিনগামী? তাই হয়ত এককোণে বসে।

এক ঘরে চলছে রঙতুলি... ধোঁয়াচোখে বললে চামেলী।

আমি সেই এক কোণে বসে।

এ সব এর মাঝখানে হঠাৎ উঠে যেতে যেতে আমার হাঁ-চোখ দেখে তুমি বলে গেলে...

না বলা গল্প কিছু পড়ে নেই।
কবিতাও হয়ে গেছে পড়া।
তবু শব্দেরা ডানা মেলে দিলে 
মন্দ হয় না পথচলা।  

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

সুযোগ


কবরের নিকষ কালোর হাত ধরে হাসান মিঞাঁ চলেছে আরও অন্ধকার এর দিকে।
চুল্লির ধূসর ধোঁয়ায় মনোহর গা ভাসিয়েছে শেষহীন নীল এ।
শিরিন এর শেষটুকু ডানা মেলেছে বুড়োশকুন এর কোষে -  মিলিয়ে যাবে সে মেটে রঙ-এ।

হাসান - মনোহর - শিরিন এর শেষকাজ সেরে ঘাটকোপর স্টেশন-এর টিকে থাকা বুড়োবটতলে বিড়ি টানতে টানতে এমনই সব নানা রঙ এর বিশ্বাস এর ভাষাহীন গল্পে মশগুল পড়ে থাকা জিন এর টুকরো রা।  

জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরে আমরাও যেমন মেতে থাকি মুক্তির রঙ বোঝার বোঝা বওয়ায়...

তাবিজ-কবজ-মাদুলি বা ঈশ্বর এর থাকা না থাকার প্রশ্ন 
সেইসাথেই থাকে নতুন ফ্ল্যাট-এর রঙ এর চয়ন অথবা কাল কতটা মাটি কাটলে খাবার জুটবে - এ সব এর হিসেব। 

আর একটু সুন্দর জীবন, আরও একটু মুক্তির স্বাদ এর এলোপাথাড়ি গল্পের সুতো গুটিয়ে আসে এক প্রস্থ বিরাম কিংবা পরের ব্যস্ততার তাড়ায়। 

জীবন অপেক্ষায় থাকে। 
অপেক্ষায় থাকে মৃত্যু। 








সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

অর্থহীন

আর কতটা থাকলে মাত্রাছাড়া থাকা হয়ে যাবে?
আর কতটা লিখলে লেখা হয়ে উঠবে অর্থহীন? 

এ প্রশ্নেরা খাচ্ছে মাথা দিন কে দিন।

যাওয়া না থাকলে থাকার কোন শেষ নেই! 
শেষ না থাকলে শুরুর নেই হদিশ।

অর্থ না হয় অনর্থের শেকড়ে... অনর্থ-হীন অর্থের কোন দেশ নেই।  

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১৮

বিশ্বাস

দম বন্ধ করা বিশ্বাস করব বলে হাতড়ে বেড়াচ্ছি।
হাতড়ে বেড়াচ্ছি অন্ধকারে ও আলোতে।


কোথাও একটা অপলক বিশ্বাস পড়ে থাকতে পারে ভেবে হেঁটে চলেছি, দৌড়চ্ছিও কখনও সখনও।


গাঢ় অন্ধকারেই হয়ত ভাল করে দেখা যায় বোধ। চোখ-ধাঁধানো আলোয় দেখা আর অদেখা একে অপরকে জাপটে ধরে তৈরি করে নানান রঙের ছবি। রঙে... না আলোয়... নাকি ছবির ভারে... কেমন যেন চাপা পড়ে যায় বোধ।


গায়ে লেপটে থাকা গোলকধাঁধার গা বেয়ে চলতে চলতে... কিছু একটাতে দম বন্ধ করা বিশ্বাস করব বলে হাতড়ে বেড়াচ্ছি। অন্ধকারে ও আলোতে। 

To embrace my darks!

Do I mean something to you?                                       He asks. The words echo and knocks on the doors that I kept in the darkest...