রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩

To embrace my darks!

Do I mean something to you?

                                      He asks.

The words echo

and knocks on the doors

that I kept in the darkest of darks


Drumrolls go high and feast on my ears

I shut down my eyes to embrace my darks


Do I mean something to you?

                                      He asks!


সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

টিকটিকি

গর্ত গভীর হয়ে চলেছে আস্তে আস্তে
আজন্ম টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে যেতে টিকটিকি হয়ে উঠেছি পুরোদস্তুর। 

মন দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে মশা মাছি খেয়ে চলেছি। আমার কাজ বা কর্তব্য কিছু একটা এই মশা মাছি খেয়ে টিকে থাকা। তা টেঁকশই ভাবেই টিকে ছিলাম বহুকাল। এবার দেখতে পাচ্ছি ভেতরে ঘুণ ধরেছে। পেটের ভেতরে সারি সারি উই ঢিপি, নানা রকম ডিজাইন। 

টিকে আছি। বহুকাল আগে কোনো এক দিন টিকে থাকার লড়াই ছিল জীবন। 
এখন তা অভ্যাস 
লড়াই টা নয়, টিকে থাকা। আমার টিকে থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে। 

সোমবার, ২ মে, ২০২২

মৃত্যুব্যস্ত

 এখন মৃত্যুর সময়, কাছের ও দুরের সমস্ত মানুষের মৃত্যুর সময়। তোমার, আমার, তাদের... সকলের মৃত্যুর সময়। মৃত্যু দুবছর আগেও সবসময়ই সম্ভাব্য ছিল, তবে এখন অনেক বেশী গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। গতবছর আমরা রেলস্টেশন-এ মা-এর মৃতদেহের সাথে খেলতে থাকা... মৃত মা কে ডাকতে থাকা শিশুকে দেখেছি। ছুটিয়ে পোস্ট করেছি (অ)সামাজিক মাধ্যমে। কেন এমন হল? রাষ্ট্রের দোষ না আমাদের? ইত্যাদি নানারকম কথা। সে শিশু এখন কোথায়, আমি জানি না। 

আপনি জানেন কিনা তাও জানি না। 

আপনার বা আমার কার হাতেই খুব একটা সময় নেইএকে অপরের সাথে কথা বলার। একে অন্যের কথা শোনার তো একদমই সময় নেই। স্ক্রীন স্ক্রোল করার সময় অবশ্য আমি বের করে নিয়েছি ঠিক। ওপিনিয়নেটেড মানুষ আমি। কাজ সেরে ওইটুকু করবার জন্যে না হয় একটু রাত জেগে শরীরপাত করলাম। 

রেললাইনে ও রেললাইনের ধারে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়া দেহগুলির মরদেহ হয়ে যাওয়া শুনেছি, দেখেছি। আবার কথার পিঠে কথা ফেলে এক্কা দোক্কা খেলেছি। দোষ খোঁজাখুঁজি চলেছে বিস্তর। এসবের ফাঁক গলে মৃত্যু ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছে আমাদের সকলের কাছে। সংবাদমাধ্যম ও (অ)সামাজিক মাধ্যম থেকে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়েছে আমাদের কাছের বৃত্তে। প্রথমে খানিক কাছের খবর হয়ে, দূরভাষ বেয়ে। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একদম ঘরের মধ্যে। যমদূত যখন গালে হাত দিয়ে অপেক্ষা করছে ঠিক ঘরের দরজার সামনেই, ঠিক সেই সময়টুকুতে খানিক শব্দহীন হয়েছি আমরা। ওই খানিক ব্যস্ততা আপনার জনকে বাঁচাতে। 

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২২

কথা

রাতের অন্ধকার এ নিজের মুখোমুখি বসতাম কাগজ কলম টেনে কোন এক কালে।

এখন সারাদিন ব্যস্ত থাকি। ব্যস্ততার বিস্তর সুবিধের গা লেপ্টে থাকি। 

ব্যস্ততার বিস্তর সুবিধে।
ব্যস্ততার অবিরাম শব্দের নিচে নিশ্চিন্তে চেপে ঢেকে রাখা যায় মাথার ভেতরে চলতে থাকা কথা। 
যে কথারা চিৎকার করে মাথা ভার করে রাখে হরদম। ব্যস্ততার মোড়কে শান্ত রাখি তাদের সাইরেন।

কথাহীন মাথা নিয়ে ব্যস্ততা বয়ে চলি বাস্তব মতে, ঘোর বাস্তব মতে। কত ধানে কত চাল মেপে বুঝে দাবার চাল সাজাই। এখন আর আগের মত ঝুপ করে বিশ্বাসে ডুব মেরে হাবুডুবু খাই না। 

কথাহীন মাথা নিয়ে গতিজাড্যে দুলি, 'pro'গতিশীল পথে নাক বরাবর চলি। 

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২

একটি অ প্রেমের বা প্রেমের গল্প

তুমি বললে প্রেম, আমিও দিব্যি মেনেই নিয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ একদিন আমি কি গায়ে জড়াব, কার সঙ্গে কথা বলব, কোন বিষয়ে কথা বলব এবং বলব না সব কিছুর অধীশ্বর ভেবে ফেললে নিজেকে। একটা বিকট রকম স্বেচ্ছাচারী, জোর খাটানো বাউন্ডুলেপনায় আমার একটা পর একটা দিন মুচড়ে দিয়ে থাকলে। প্রশ্ন করলাম, বার বার প্রশ্ন করলাম। অনুরোধ, আবদার, চোখের জল, ঝগড়া ইত্যাদির পাহাড় ডিঙিয়ে শ্রান্ত হয়ে আবার প্রশ্ন করলাম। তুমি তবু বললে প্রেম। আমার মেনে নেয়ার ক্ষমতা এতদিনে আস্তে আস্তে কমে এসেছে অনেকটাই। 

এরপর? নাহ, নতুন কিছুই নয়। চলতে থাকল একই রকম ভাবে সবকিছু। মাঝে মাঝে ক্ষমা চাওয়া, কান্নাকাটি, ইত্যাদি। আর তারপর, আকাশ ফাটানো চিৎকার চেঁচামেচি এবং তার সাথে নতুন আমদানি করা উপেক্ষা। এক তরফা উপেক্ষার পাহাড় ও জমা হল। 

তারপর? তারপর আমি আবার অনেক প্রশ্ন করলাম। তুমি আবার বললে প্রেম। আমি এবার চিৎকার করে বলে উঠলাম, না আ আ আ আ... প্রেম নয়, বিন্দুমাত্র প্রেম নয়। এ কেবল দখলদারির ছদ্মবেশ। গা ঝেড়ে খুলে ফেললাম সব। অনেক বছরের জমা করা ভালোলাগা, ভালোবাসা, মায়া সব। স অ ব। গা ঝেড়ে খুলে ফেললাম সব। সেদিন প্রথম বুঝলাম মিথ্যের ভার নামিয়ে রেখে উলঙ্গ হওয়া কি শান্তির। 

তুমি তখনও চিৎকার করে চলেছ প্রেম, প্রেম, প্রেম। আমি বুঝলাম, তুমি নিজেও বন্দী যুগ যুগ ধরে নিশ্চিন্তে চলতে থাকা খাঁচায় বাঁধা পথে। তবে মুক্তির রাস্তায় তোমার কাজ নেই। খাঁচাকেই ভালোবেসে ফেলেছে যে। বুঝলাম, কেন এত তীব্র বিশ্বাস তোমার চিৎকারে! তুমি আজও চিৎকার করে চলেছ প্রেম, প্রেম, প্রেম। মাঝে মাঝে নানা অলি গলি বেয়ে সে সব শব্দ এসে পরে এখনও আমার কাছে। 

তারপর আমি আবার হাঁটা দিই। ঠিক যেমন সেদিন দিয়েছিলাম আর ফিরে দেখব না জেনে। হাঁটতে থাকি এ রাস্তায়, সে রাস্তায়। তোমার চিৎকার চলছে। আর চলছে আমার যাত্রা। একে অন্যের চেয়ে লক্ষ্য যোজন দূরে, ঠিক যেমনটা হওয়া উচিৎ। 

আমি হাঁটছি, সাথে আছে তারা যাদের প্রেম বলে চিৎকার করতে হয় না রোজ। সাথে আছে। সাথে নিয়েছি তাদের, যাদের ' প্রেম ' বলে চিৎকার করতে হয় না রোজ। সাথে থাকুক তারাই, যাদের ' প্রেম ' বলে চিৎকার করতে হয় না রোজ। 


মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১

ব্যবধান


অভিজ্ঞতা দিয়ে দাঁড় বানাতে গিয়ে কখন যেন দাঁড়ি আঁকা হয় গেছে, দেখা হয় নি। দেখা গিয়েছে অবশ্যই, তবে দেখা হয় নি।

ঠিক যেমন তোমাকে দেখতে পাই রোজ, সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে আবার আরো একটা সকাল অবধি, তেমনই। দেখতে পাই অঢেল, শুধু দেখা হয় না। অথচ, এই একটু দেখা করব বলে কত তোড়জোড়! কতই না ঝড় - তুফান ঠেঙিয়ে এই এতটা দূরে আসা। 

দাঁড়ি মুছে দাঁড় বানানো যায় না, ভাঙতে হয়। ঝুলে পড়া মাংসপেশিতে ভাঙার জোর কোথায়? তাই মন ভুলিয়ে মুছে চলি দাঁড়ির পর দাঁড়ি। দাঁড়ি মুছে যায়।

দাঁড়িয়ে থাকে ব্যবধান।

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

মুক্তি


রাতের অন্ধকার এর গায়ে শহরের গুমোট আলো
লেপটে থাকে এখন।

একরাশ উদাত্ত অন্তহীন অন্ধকার খুঁজি

আমি একরাশ উদাত্ত অন্তহীন অন্ধকার খুঁজি...
যে অন্ধকারে নগ্ন আমি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি,
চিৎকার করে গাইতে পারি সুর ও বেসুর

ঘড়ির কাঁটায় চড়ে ঘেঁটে যাওয়া ইকুয়েশন মেলাতে মেলাতে, শহরের গুমোট আলো লেপটে থাকা রাতের অন্ধকার এর মাঝে

আমি একরাশ উদাত্ত অন্তহীন ভাবনাহীন লাগামছাড়া অন্ধকার খুঁজি...

বুধবার, ১৯ মে, ২০২১

এলোমেলো

কিছু ভালোবাসা জন্মায় পুড়ে ছাই হবে বলে। সবাই তো আর ফিনিক্স‌ হয়ে ওঠে না! কাল ভালোবাসা ছিল, তার পর কালের খাতায় সব খরচ।

চাতক এর মত কাঙালি হৃদয় নিয়ে অপেক্ষায় সে প্রেমের। একদম বোকা! বৃষ্টি এলেও সে যে চাতকের জন্য আসে না, সেকথা বারবার ভুলে যায়! 

কাল যেগুলি কথা ছিল....আজ তারা সক্কলে প্রাণহীন, অর্থহীন শব্দ মাত্র। এই অনর্থের পাহাড় ডিঙিয়ে কটা মন ই বা শব্দ বুঝতে জানে?! অর্থ খোঁজা? সে তো স্বপ্নের কল্পনার ও বাইরে।

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

নি-ছক একটা জীবন

বেঁচে থাকার অর্থ নয় নি-ছক একটা জীবন খুঁজছি। এলোপাথাড়ি হাতড়াচ্ছি ঘুম-জাগা-রাঁধা-খাওয়া আর অনেকখানি অফিস-অফিস খেলার ফাঁক দিয়ে। স্পষ্টত জানি যে এভাবে জীবন এর দেখা মেলে না, দিন কাটে খালি। দিন কাটানোর অভ্যেস ভেঙে দেয়ার মত কিন্তু কিছুই করছি না। শুধু দিনগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গাল দিচ্ছি। কোন এক ফাঁকে বসছি খাতা-কলম নিয়ে ছবি আঁকব বলে। ছবি আঁকছি। লম্বা লম্বা সরলরেখার ছবি, যাদের কেউই নিপাট সরল আর হয়ে উঠছে না। সোজা রাস্তায় হাঁটবে বলে বেরিয়ে তারপর দোল খাচ্ছে। দোল খেতে খেতে হাঁ করে তাকিয়ে থাকছে বোকাবাক্সের দিকে। খেই হারিয়ে ভাবছে কি যেন ভাবছিল?! তারপর ভাবা শেষ হয়ে যাচ্ছে। একটা ছক-কাটা সাদা মেঝের চৌকো ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে একই বৃত্ত ধরে। তারপর দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। খাতা বন্ধ করে আমি প্রিমিয়াম ভরছি, ধুলো ঝাড়ছি, আসবাব কিনছি। একটা ছোট্ট হলুদ টেবিলের জন্য সেই কবে থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি। সাদা-কালো-বাদামীর মধ্যে একটুখানি হলুদ। টেবিলটা চলে এলে আমি কদিন জীবন খুঁজব না। ছত্তিরিশশ মাইল দূরের অনর্থক গোলযোগ নিয়ে হয়ত মেতে উঠব হঠাৎ, বিন্দুমাত্র যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়াই। নাওয়া খাওয়া করব কোনক্রমে, অফিস চলবে কারণ আজকাল ঘোর-এর মধ্যে অনেক রকম ভেজাল। তাছাড়া আমার কাজে অমুকের তমুকটা উদ্ধার হচ্ছেই। থামা যায় না। এ সবের ফাঁকে কবে যেন ভুলে যাব হলুদ টেবিলটার দিকে তাকাতে। টেবিলটার ওপর ধুলো জমে প্রায় বাদামি হয়ে যাবে। তারপর সম্বিৎ ফেরাবে পাশে পড়ে থাকা পাত্র। আবার হাত-পা-আত্মা কাচিয়ে নিয়ে হলুদ টেবিলটার ধুলো ঝাড়ব। দেখলাম টেবিলটা আছে, হলুদ কোথাও একটা হাঁটা দিয়েছে। অযত্নের বিরক্তিতেই হয়ত। তাই এবার আমি সদ্য গজানো স্নেকপ্ল্যান্টটা দিয়ে টেবিলটা ঢেকে দেব। তারপর আবার নি-ছক একটা জীবন খুঁজব, বেঁচে থাকার অর্থ নয়। 

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

সব চরিত্রই বাস্তবিক

মরে যায় ধরো ওই দিন প্রতি একত্রিশ, 
শেল্ডাক, টার্নস্টোন ও করে গেল কুর্নিশ;

আমি যাই ডানা উড়ে কর্ণার ফ্ল্যাটটায়,
মুসি নদী দম ফেলে আমার বারান্দায়;

কালোজাম রঙ দিয়ে সাজাবো কিচেন-টুকু...
এতে কিবা হবে আর পৃথিবীর ধুকুপুকু?

গায়ে চাপা গিল্টের ছোপছাপ দাগেদের 
মুছে দেব ফেনা দিয়ে হ্যান্ডমেড সাবানের; 

দিশি সুতি কাপড়েরা রিঠা জলে নাইবে,
নন্-টক্সিক পথে ফলাহার জমবে; 

এতে করে জমা হবে যতখানি পুণ্যি 
তাই দিয়ে মিঞা-বিবি ্প্যারিস এর ট্যুর নি!!!




বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

মশারি

দাঁতে দাঁত চিপে বসে আছে তানিয়া। ঠান্ডা, প্যাকাটি মতন দেহটার পাশে। বুকে ব্যথা হচ্ছে নাকি খালি হয়ে গেল বুকটা নাকি সাইনাস এর মাথা ব্যথা, কিছুই বুঝে উঠছে না। মাচার ওপর শুয়ে থাকা ফুলে সাজানো ঠাণ্ডা গা ছুয়ে দেখছে মাঝে মাঝে। চারপাশে কান্নার রোল। কে যেন একটা বলে উঠলো... "ভালো লোক গুলাকেই টাইনে নেয় কেন্ যে!" ভালো? তা হবে হয়তো! নিজের মাথার ভেতর খুব পরিষ্কার ছকে 'মন্দ' বাক্স টাতেও তো ঢোকাতে পারেনি এঁকে তানিয়া। কিন্তু ভালো? আর এক ঢোঁক জল গিলে দাঁতে দাঁত চেপা আবার।

আকাশ দৌড়দৌড়ি করছে। দাহের জোগাড়, লোকজনের খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। দাহ করতে হবে তানিয়া কেই। ঠান্ডা হবার আগে জানানো শেষ ইচ্ছে। সব ভুলে গিয়ে শেষ এর মুহূর্তে কি মনে পড়েছিল কে জানে! একটু আগেই অলি জানান দিয়ে গেল এ নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। মনে মনে হাসে তানিয়া... কানাঘুষো! বেশ শুনতে শব্দ টা। কিভাবে এসেছে কে জানে? তবে কানারা মিলে ঘুঁষোঘুঁষি করলেও ব্যাপারটা ঠিক কানাঘুষোর মত নোংরা হয়ে উঠতে পারবে কি? কে জানে!  হবে হয়তো! ভাগ্যিস এই 'হবে হয়তো' টুকু ছিল! এখনো আছে! এই হবে হয়তো টুকু গায়ে লেপ্টে রয়ে গেছে বলেই জীবনের হাত ধরে বেশ বয়ে চলেছে আজও তানিয়া!

আবার একটু ঠান্ডায় হাত রাখল তানিয়া। কি শান্ত দেখাচ্ছে আজ! এবার কি তাহলে খুলে বলতে পারবে সমস্ত টা সে? এই এতগুলি বছরে চুপচাপ থাকা টা ভেঙে যাবে এখন? রোজ কতবার করে ভাঙার চেষ্টা করেছে তানি! ভাঙা যায় নি কিছুতেই। একবার, একবারই মাত্র গর্জে উঠেছিল সে। তাতেও কিছুই ভাঙেনি। অভিমানী চিত্তের প্রলাপ মাত্র, এই ভেবে সকলে খিল দিয়েছে দরজায়।

অথচ আজও চোখ বুজলেই ওই অন্ধকার ঘরে হলদেটে মশারির নিচে সুরেলা নরম ব্যারিটোন গলার স্বর আর তার সাথে সুকৌশলী হাতের আঙুলের সমস্ত শরীর জুড়ে বয়ে বেড়ানো তা ছবির মতো পরিষ্কার। আট বছরের মেয়ের দেহের সমস্ত টা খুব একটা বেশি হয় না ঠিকই, তবু সমস্ত টা সমস্তই ছিল... সমস্ত টা কোন এক মুহূর্তের স্থান-কাল ও পাত্রে সমস্তই থাকে। তবু সেই একটি মাত্র বারের সমস্ত চেষ্টা এক করে বুকফাটা গর্জন দাগ কাটে নি কারো মনে। মনেও রাখেনি কেউ। ভোলেনি কেবল তানিয়া। যত দিন গেছে আরো বেশি বেশি পরিষ্কার হয়েছে স্মৃতির কুঠুরি। একের পর এক ডিটেইল ডানা মেলে দিয়েছে। জানিয়েছে তাদের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা রহস্যের কথা। ডাউন দ্য তানিয়াস মেমোরি লেইন এ একটানা চলেছে এদের কানাঘুষো। কানাঘুষো... বেশ শুনতে শব্দ টা।

কিন্তু প্রশ্নটার উত্তর এখনো মিলল না। এবার কি বলতে পারবে সে? কিন্তু বলবে কাকে? আর প্রশ্নই বা করতে যাবে কাকে যার প্রতি সমস্ত প্রশ্ন সে তো দিব্যি শুয়ে আছে ঠান্ডা হয়ে! এতগুলি বছর কি সুন্দর ভুলেছিল সমস্ত টা। অ্যালঝেইমার্স ও যদি ছোঁয়াচে হত, বেশ হত। তানিয়াও ভুলতে থাকতো সমস্ত টা একে একে। ধীরে ধীরে খুলতে থাকতো এক একটা সুতো। এক এক সুতো করে ডিকনস্ট্রাকশন হত সেই মশারিটার। "মশারি টা!!!' চিৎকার করে উঠল তানিয়া...  "মশারিটা জ্বালাতে হবে বাবার চিতার সাথে!!"

To embrace my darks!

Do I mean something to you?                                       He asks. The words echo and knocks on the doors that I kept in the darkest...