রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

নীল

ছোটবেলায় যখন সাদা কাগজের ওপর আকাশের গায়ে রঙ দিতাম, সব সময় সেই রং নীল-ই হত! মাথার ওপর আকাশ, তাকে বেশির ভাগ নীল দেখতে পেতাম বলে হয়ত। তারপর কোন একসময় দেখা পেলাম সাগরের। অত জল দেখে ভয় হল বড়। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলাম অনেক! আর তারপর থেকে আঁকার খাতায় সমুদ্রের রঙও নীল হয়ে গেল। তারপর কোন এক সময় পেন্সিল, রঙ-তুলি... সব উধাও হল জীবন থেকে। থেকে গেল সাথে... অধরার রঙ... নীল। যা কিছু আমার চাইতে অনেক অনেক বড়... যা কিছু অধরা... সবাই নীল হয়ে গেল। নীল তাই অধরা আমার! 

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১১

রক্ত নির্বিশেষে





রক্তের একটা নেশা থাকে...
হালকা নোনা স্বাদ ... মৃদু আঁশটে গন্ধ
...কিংবা এসব যদি নাও জানে কেউ...
          ওই লাল রঙ ।
শিরা আর ধমনীর ভেতরের                 জীবনের রঙ...
          আর বাইরে... চাপ ধরা, কালচে রক্তে...
                                      মৃত্যুর রঙ।
কিংবা হতে পারে সৃষ্টির !!!
সবেতেই... একটা নেশা থাকে ---
                             রক্তের নেশা...
সে রক্তটা ... জীবন মৃত্যু সৃষ্টি... বা ধ্বংস
                                      যারই হোক না কেন...!

একখানা প্রেম...



আমি, পাথরের পড়শি বলছি...
                   পাথরটা বসে আছে নদীর পাড়ে... একলা একলা । বহুদিন; বহুদিন ধরে বসে আছে । মাটির রূপান্তরের ফাঁকে, জন্মের সেই প্রথম মুহূর্তে এক ফোঁটা জলের ... ওই নদীরই এক ফোঁটা জলের প্রেমে পড়েছিল সে । এঁচোড়ে পাকা ছেলে! বোঝো ঠেলা এখন ! সে জল এখন বয়ে বয়ে কোন সমুদ্দুরে...বাষ্প হয়ে কোন বাঁ মেঘের কোলে ... ! তার আশায় ... জোয়ান হাড় গেল ক্ষয়ে... তার আশায় ভাতের দাঁতগুলোও সব পড়ে গেল । তবু বসে আছে । কথা নেই মুখে। ছেলেটার !!!
                   সে পাথর কাল হারিয়ে গেছে কালে। আমি ঘুম ভেঙে উঠে দেখি---
নেই ।।
                             তবে জল...   !
                   ওই এক ফোঁটা জল তবে জানল কি? ... জানল হয়ত। ঠিক যাবার আগে, এক ইশারায় ... পাথরটাকে ... হয়ত...! নইলে অমন সারাটা জীবন ! তবে কি ইচ্ছে করেই চলে গেলো ? জ্বালিয়ে দিয়ে গেলো হাড়মাস !
                                                          নাকি নিয়ে গেলো ওকে ! সকলে মিলে ... 
নাকি নিয়ম তাকে টেনে নিয়ে গেলো ! জলের চোখে কি জল এলো কখনও !
নাকি কোনও এক মেঘের বুকে... সুখে পাতল সংসার --- নাকি...
                   মাধ্যাকর্ষণে অন্য কোন পাথরের বুকে পড়ে ...
জীবনটাকে করে দিল চৌচির । হল কি জলফোঁটাটির ?!
                   কি হল মেয়েটার ... সেই যে চলে গেলো... চলে গেলো কি?
হারিয়েই কি গেলো ! ... সক্কলে কি ঠেলে দিল তাকে --- নিরুদ্দেশের ঠিকানায় ?!
                   নাকি পথ খুঁজতে খুঁজতে মেয়ে বৃদ্ধা হয়ে পড়ে রইল কোনও এক বেনামা নালার ধারে... বা ফুটপাথে ... তারপর; শকুনেরা সাবাড় করল তাকে ... কিংবা ...
                                      ভিড়ল কি সরকারী বেওয়ারিশ মহেঞ্জোদাড়োয় !!!
নাকি শকুনে গিলেছিল আগেই... ঢের ঢের আগেই...?
জলফোঁটা কি ছিটকে গেলো পৃথিবীর কোল থেকে ...
                                                                                      আবর্তনের দাপটে ?!
                   মেয়েটি কি শেষ হয়ে গেলো? ...
                   মেয়েটি কি খুব সুখী হল ?
                   জলফোঁটা কি ভুলে গেলো পথের সে পাথরকে ?
মেয়েটি কি আজও খোঁজে          ছেলেটার চোখ ?
জলফোঁটা আজও ঘোরে কি... চাকে বাঁধা পথে ...?
                                                পাথরের খোঁজে...?
                             পাথর...?
আমি পাথরের পড়শি... আজ ঘুম ভেঙে উঠে দেখি...
                                      নেই ।।

To embrace my darks!

Do I mean something to you?                                       He asks. The words echo and knocks on the doors that I kept in the darkest...