স্মৃতির জন্মের পরে না
আগে তা ঠিক জানা নেই। আজন্ম পেরিয়ে আসা অগণিত অর্থহীন দিনের কোন একটাকে পছন্দমত
বেছে নিয়ে কে যেন কানের কাছে একঘেয়ে না-চেনা সুরে বলেছিল... “জীবনের ধন কিছুই যায়
না ফেলা! ”
শব্দের গাম্ভীর্যে নাকি
অচেনা সুরের কম্পাঙ্কে তাও অ-জানা ... স্নায়ুকোশের গা বেয়ে বেয়ে বয়ে চলেছিল ... “জীবনের
ধন কিছুই যায় না ফেলা”...
কাজেই কড়া নির্দেশ... পথ
চলতে যা কিছু জোটে কুড়িয়ে চলতে হবে...
ফুল... পাতা... গাছ...
সুর... শব্দ... ছন্দ...
ভাল হোক বা মন্দ...
কুড়িয়ে চলতে হবে...
চলার পথেই পার হয়ে চলে
গুনতি-হারানো দিন...
এই বুঝি শেষ সেই ভয়ে ভয়ে বুক
করে চিন চিন...
সময়ের সাথে যুদ্ধের তালে
সময় পেরিয়ে যায়...
ব্যস্ত-এ-মন ভীষণ গতিতে
জীবন-ধন কুড়ায়...
বেশ কাটে দিন। হঠাৎ সেদিন স্বপ্নে পড়ল হানা!
থুরথুরে-বুড়ো মাঝরাতে নাচ... অ-চেনা-অ-জানা!
খিনখিনে তার ঘ্যানঘ্যানে সুরে কান হল ঝালাপালা।
“কাঁদে আর বলে জীবনের ধন কিছুই যায় না
ফেলা”
দুত্তোরি ছাই! এ কথা আমার কঅব্বে থেকে জানা!
কুড়িয়েছি সব... ফেলিনিকো এক দানা।
এই বলে আমি যেই পাশ ফিরি কান-কাছে ফিস ফিস
কুড়ুনি রে তোর জীবনটাই হাপিশ... !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন